কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলো কি?

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলো কি? আপনি কি সেই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকে আমরা AI এর সুযোগ ও সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার-সুবিধা

AI এর সুযোগ ও সুবিধা গুলো আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলেছে। AI সুবিধা যেগুলো রয়েছে সেগুলো এই আর্টিকেল থেকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সুচিপত্রঃ AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) হলো এমন প্রযুক্তি যা কম্পিউটার সিস্টেম। যা মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে। এমনকি কাজ করতে সক্ষম হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো কম্পিউটার ও মেশিনগুলোকে এমনভাবে তৈরি করে যাতে সেগুলো মানুষের মতো সমস্যা সমাধান করতে পারে। যা আমাদের আধুনিক জীবনমান কে খুবই উন্নত করে থাকে।

                                                  Artificial Intelligence হলো ডিজিটাল যুগকে আরো বেশি উন্নত ও সহজ করার এক মাধ্যম। যেটা এখনো পুরো বিশ্বে কার্যকর না হলেও এর পরিচিত ও ব্যবহার বিভিন্ন দেশে ব্যপক হাড়ে বেড়ে গেছে। যার ফলে তারা অন্যান্য সকল রাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যা তাদের জীবনকে অধিক সহজ ও সময় সাপেক্ষ করে তুলেছে।

                                                  AI ব্যবহার এর সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের কাজ কে সোজা করে নিতে পারি। কেননা এর ব্যবহার করে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। যার ফলে আমরা আমাদের সময় কে ভালো করে আমাদের কাজে লাগাতে পারবো। এই AI দিয়ে আমাদের অল্প সময়ে অধিক কাজ করে নিয়ে সময়কে আরও অন্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি।

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে

                                                  আমাদের এআই এর সুবিধা ও অসুবিধা আমাদের জানা অবশ্যই দরকার। কারন আমরা যখন এই AI নিয়ে কাজ করবো তখন আমদের সকল কিছু সম্পর্কে জানতে হবে। কারন আমরা যদি Artificial Intelligence এর সুবিধা গুলো অপব্যবহার করি, তাহলে আমাদের বিভিন্ন প্রকার সিমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে।

                                                  কারন এই AI ব্যবহার এর সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে যে খারাপ কাজগুলো করে সেগুলোর ফলে আমরা সাইবার ক্রাইম এর মধ্যে পড়ে যেতে পারি। এই AI আমাদের জন্য যেমন উপকারে আসে ঠিক তেমন অনেক অসুবিধাও রয়েছে। আমাদের সেগুলো সম্পর্কে জেনে ভালভাবে গবেষনা করে এই AI কে ব্যবহার করতে হবে ।

                                                  তাহলে আমরা এর আসল ব্যবাহার সম্পর্কে এবং এর কাজের মূল উদ্দেশ্য জানতে পারবো। তাহলে আমাদের কাজকে সহজ করতে পারবো। এআই এর সুবিধা ও অসুবিধা অনেক রয়েছে তা জেনে এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহৃত করতে পারবো। কারন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের কাজ কে সহজ ও শর্টকাট করতে তৈরি করা হয়েছে। 

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করে?

                                                  AI এর সুযোগ ও সুবিধা কে ব্যবহার করে আমরা অনেক ও বিভিন্ন রকম কাজ করতে পারি। তারর আগে জানতে হবে এই AI কাজ করে কিভাবে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিভিন্ন প্রযুক্তির সংমিশ্রণ দ্বারা কাজ করে থাকে। অর্থাৎ এটি আমরা তো বিভিন্ন কাজে যেমন ব্যবহার করতে পারি ঠিক তেমনি এর একেকটা কাজের জন্য একেক রকম ডাটা দেওয়া থাকে।

                                                  যার মাধ্যমে এটি সেই কাজ কে সহজ ও দ্রুততার সাথে করতে পারে। যেমন আমরা এর মধ্যে বেশি ব্যবহৃত দুইটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদাহরণ হিসেবে ধরতে পারি,
                                                  • Photo: আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন রকম পিকচার বা ইমেজ কে ইডিট করা লাগে। আর কাজ মত্র এক ক্লিকেই করে ফেলতে পারে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এর জন্য বিভিন্ন রকম অ্যাপ ভবা ওয়েবসাইট রয়েছে।
                                                  • Content: কনটেন্ট বলতে যেকোনো বিষয়ে লেখার জন্য বা জানার জন্য আমাদের বিস্তারিত তথ্য বের করা। এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় হলো ChatGPT. 
                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলোর মধ্যে বিশেষ ও অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অল্প ডাটা দেওয়ার পর সেটিকে পরিপূর্ণ রূপে প্রকাশ করা। এটি মানুষের বুদ্ধির প্রয়োজন হয় তেমন কজে ব্যবহৃত হয়। আর মানুষ এর দরকার হয় এমন কাজ সম্পাদন করতে এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি বড় বড় কাজ মানুষের পপরিবর্তে করে থাকে।

                                                  AI যেভাবে ব্যবহৃত হয়

                                                  আমাদের জানা দরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়।  এই AI আমাদের বর্তমান যুগে অনেকভাবে ও অনেক জায়গায় ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব রয়েছে অনেক। কারন এটি সর্বস্তরে ব্যবাহের করা যায়। এর কোনো নির্দিষ্ট ভাষা নেই। একে যদি কোনো কিছু জানার জন্য জিজ্ঞাস করা হয়,

                                                  তাহলে আপনি এখানে যে ভাষা তে জিজ্ঞাস করবেন বা জানতে চাইবেন সেই ভাষাতে উত্তর দিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু অনেক অনেক এর উপস্থাপনা রয়েছে যেখানে সকল ভাষায় কাজ করা যায় না। সেখানে আপনি শুধু ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। আর সেখানে আপনি যদি কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেটায় ব্যবহৃত ভাষা ব্যবহার করতে হবে।

                                                  আরও পড়ুনঃ শারীরিক ফিটনেস বজা রাখবেয়ন যেভাবে

                                                  এছাড়া আমরা এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজেও ব্যবহার করতে পারি। এমনকি ব্যবসায় ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হয়ে থাকে। যেসব কাজে AI ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলোঃ

                                                  ১। ফিনান্স               ৫। স্বয়ংক্রিয়তা
                                                  ২। গ্রাহক পরিষেবা      ৬। মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন
                                                  ৩। স্বায়ত্তশাসিত গাড়ি    ৭। ভাষার অনুবাদ
                                                  ৪। স্বাস্থ্যসেবা            ৮। ব্যক্তিগত সহায়ক ইত্যাদি।

                                                  যেসব কাজে AI ব্যবহার করা যাবে

                                                  আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে AI এর সুযোগ ও সুবিধা কে ব্যবহার করতে পারি। AI ব্যবহারের সুযোগ এখন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমনকি এর ব্যবহারের সম্ভাবনাও দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশেও এর ব্যবহার ব্যপকভাবে শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক কাজ করে যাচ্ছে। AI ব্যবহারের সুযোগ যেসব কাজে রয়েছে সেগুলো হলোঃ

                                                  কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার-সুবিধাগুলো

                                                  • স্বাস্থ্যসেবা:
                                                  1. রোগ নির্ণয়: AI ছবি বিশ্লেষণ করে রোগ শনাক্ত করতে পারে। যেমন ক্যান্সার বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা।

                                                  1. চিকিৎসা পরিকল্পনা: রোগীর তথ্য যাচাই করে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য।

                                                  • অর্থনীতি ও ব্যবসা:

                                                  1. ফাইনান্সিয়াল অ্যানালিসিস: বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। 
                                                  2. কাস্টমার সার্ভিস: চ্যাটবট এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে।

                                                  • শিক্ষা:

                                                  1. পার্সোনাল লার্নিং: শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি অনুসরণ করে ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার পরিকল্পনা তৈরি করে দেই।

                                                  2. স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন: পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীর অগ্রগতিতে করনীয় নির্ধারণ।

                                                  • পরিবহন:

                                                  1. স্বায়ত্তশাসিত যানবাহন: গাড়ি, ট্রেন, এবং ড্রোনের মতো পরিবহন মাধ্যমের অটোমেটিক চলাচল করাতে। 

                                                  2. ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট: শহরের ট্রাফিক প্রবাহের বিশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ।

                                                  • কৃষি:

                                                  1. ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ: ড্রোন ও সেন্সর ব্যবহার করে ফসলের স্বাস্থ্য এবং জমির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায়।
                                                  2. অটোমেটেড কৃষি যন্ত্রপাতি: কৃষিকাজের জন্য রোবোটিক্স এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার।

                                                  • নিরাপত্তা:

                                                  1. সিকিউরিটি ক্যামেরা: সন্দেহজনক আচরণ সনাক্ত করে এবং বিপদ সংকেত প্রদানে এর ব্যবহার।
                                                  2. সাইবার সিকিউরিটি: হ্যাকিং এবং সাইবার আক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদানে AI ব্যবহৃত হয়। 

                                                  • বিনোদন:

                                                  1. কন্টেন্ট প্রস্তাবনা: আমাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে মুভি, মিউজিক এবং অন্যান্য কনটেন্ট তৈরিতে।
                                                  2. গেম ডিজাইন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা উন্নত গেম এবং পরিবেশ ডিজাইন করতে এর ব্যবহার হয়।

                                                  যেগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া উচিৎ না

                                                  AI ব্যবহারের সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আমরা যেমন অনেক কাজ করতে পারি। কিন্তু AI এর সুযোগ ও সুবিধা সব জায়গায় ব্যবহার করা উচিৎ না। কারন এটি অনেক সময় আমাদের প্রয়জনীয় সবকিছু সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে পারে না। কাজে অনেক ঘাটতি রয়ে যায়। যার ফলে প্রফেশন লাইফ অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা জেনে যেসব কাজে এর ব্যবহার করা ঠিক না তা হলোঃ
                                                  • নৈতিক ও আইনগত সিদ্ধান্তে:

                                                    • আদালত ও বিচার: আদালতের রায় এবং আইনগত সিদ্ধান্তে মানবিক বিচারের গুরুত্ব অবশ্যক। AI এর সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ডেটা বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে। নির্ভুল নৈতিক বা আইনগত মূল্যায়ন করতে অবশ্যই বাস্তবমুখী হতে হবে।
                                                    • অনৈতিক আচরণ: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা আচরণ সম্পর্কিত বিষয়ে কেবলমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করা ঠিক নয়।

                                                  • মানবিক সম্পর্ক:

                                                    • মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা যেমন ডিপ্রেশন বা অ্যানজাইটিতে মানবিক সমর্থন, সহানুভূতি এবং পরামর্শ দরকার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সমাধান এই ধরণের গভীর মানবিক বিষয় সমাধান করতে সক্ষম নয়।
                                                    • পারিবারিক সমস্যা: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক বা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মানবিক বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে AI এর কোনো ভূমিকা নেই।
                                                  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা:

                                                    • চিকিৎসা সিদ্ধান্ত: জটিল রোগের ক্ষেত্রে বা জরুরি চিকিৎসায়, এআই ভিত্তিক সুপারিশ কোনোভাবেই চিকিৎসকের গ্রহণ করা উচিৎ না। কারন এটি অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা এবং মানবিক পর্যবেক্ষণকে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। এটি শুধুমাত্র সাহায্যের ভূমিকা পালন করতে পারে।

                                                  আরও পড়ুনঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

                                                  • সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়:

                                                    • সাংস্কৃতিক ন্যায়: সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক নীতিমালা বা রীতি-নীতি নির্ধারণে এআই এর ব্যবহার করা থেকে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এটি সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং মানুষের অনুভূতির গভীরতা বুঝতে সক্ষম না। 
                                                  • সৃজনশীল কাজ:

                                                    • উদ্ভাবনী চিন্তা: নতুন ধারণা, শিল্পকলা, সাহিত্য বা সৃজনশীল কাজে মানবিক সৃজনশীলতা ও আবেগের ভূমিকা অপরিসীম। যদিও AI -ভিত্তিক টুলস সাহায্য দিতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ সৃজনশীল কাজের জন্য মানবিক চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনের প্রয়োজন। যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা অসম্ভব।

                                                  ধরন অনুযায়ী AI কেমন?

                                                  AI এর পূর্ণরূপ হলো Artificial Intelligence. যার আবিধানিক অর্থ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রযুক্তি নির্ভর এই ডিজিটাল যুগের অন্যতম মাধ্যম বা চালিকাশক্তি হলো এই Artificial intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই AI  হচ্ছে বর্তমান যুগের বিপ্লবের এক অন্যতম আবিষ্কার বা উদ্ভাবন। যা আমাদের জীবনমাঙ্কে অনেক সমৃদ্ধ করে তুলেছে । AI হচ্ছে মূলত ৩ প্রকার। যথাঃ

                                                  • কী পার্টিকুলার এআই (Narrow AI):

                                                    • সংজ্ঞা: নির্দিষ্ট একটি কাজ বা সমস্যা সমাধানে সক্ষম AI। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে। 
                                                    • উদাহরণ: চ্যাটবট, সার্চ ইঞ্জিন, ফেস রেকগনিশন সিস্টেম, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং গুগল ট্রান্সলেট ইত্যাদি। 

                                                  আরও পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে যেভাবে টাকা ইনকাম করবেন

                                                  • জেনারেল এআই (General AI):

                                                    • সংজ্ঞা: মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা যা বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি এখন পর্যন্ত গবেষণার স্তরে রয়েছে এবং বাস্তবরূপে বাস্তবায়ন হতে পারেনি। 
                                                    • উদাহরণ: মানুষের মতো চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম। এমন একটি AI যা এখনও তৈরির পর্যায়ে আছে।
                                                  • সুপার এআই (Superintelligent AI):

                                                    • সংজ্ঞা: মানব বুদ্ধিমত্তার চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ ও সক্ষম AI। এটি তত্ত্বগতভাবে এমন একটি এআই, যা সমস্ত দিক থেকে মানুষের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
                                                    • উদাহরণ: এটি এক ধরনের তাত্ত্বিক ধারণা। যা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বর্তমানে বাস্তবরূপে বিদ্যমান হয় নি।

                                                  প্রযুক্তির প্রকারভেদ অনুযায়ী AI কেমন?

                                                  আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি  AI এর মূল প্রকারভেদ। কিন্তু AI আরও অনেক প্রকারের বিদ্যমান। এদেরকে তাদের কাজের ধরন বা তাদের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে ভাগ করা হয়েছে। এখন আমরা জনবো AI প্রজুক্তিগত দিক দিয়ে কত প্রকার। প্রযুক্তির প্রকারভেদ অনুযায়ী এআই কে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা হলোঃ

                                                  কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার-সুবিধা-কি
                                                  • মেশিন লার্নিং (Machine Learning):

                                                    • সংজ্ঞা: তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং শিখে অটোমেটিক উন্নত হওয়ার ক্ষমতা। এটি মূলত ডেটা থেকে প্যাটার্ন শেখার এক প্রক্রিয়া।
                                                    • উদাহরণ: ক্লাসিফিকেশন, রিগ্রেশন এবং ক্লাস্টারিং অ্যালগরিদম।

                                                  • ডিপ লার্নিং (Deep Learning):
                                                    • সংজ্ঞা: মেশিন লার্নিং-এর একটি শাখা। যা নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং শেখার জন্য গভীর স্তরের মডেল ব্যবহার করে থাকে।
                                                    • উদাহরণ: ইমেজ রিকগনিশন, ভাষার অনুবাদ এবং সেলফ-ড্রাইভিং গাড়ির প্রযুক্তি।
                                                  • ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP):
                                                    • সংজ্ঞা: ভাষার প্রক্রিয়াকরণ এবং বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহৃত এক প্রযুক্তি। যা মানুষের ভাষা বুঝতে ও প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম।
                                                    • উদাহরণ: টেক্সট বিশ্লেষণ, চ্যাটবট, ভাষার অনুবাদ ইত্যাদি।
                                                  • কম্পিউটার ভিশন (Computer Vision):
                                                    • সংজ্ঞা: এটি কম্পিউটারকে ইমেজ বা ভিডিও বিশ্লেষণ করতে সক্ষম করা। যাতে এটি চিত্রের ভিতরের বিষয়বস্তু কি তা বুঝতে পারে।
                                                    • উদাহরণ: ফেস রিকগনিশন, অবজেক্ট ডিটেকশন এবং ইমেজ ক্লাসিফিকেশন।
                                                  • রোবোটিক্স (Robotics):
                                                    • সংজ্ঞা: রোবটকে স্মার্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করা এর কাজ। যাতে তারা নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হয়।
                                                    • উদাহরণ: ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট, স্বায়ত্তশাসিত গাড়ি এবং সার্ভিস রোবট ইত্যাদি।

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি?

                                                  আমাদের উন্নত জীবন বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই AI এর সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের কাজকে সহজ ও এই AI কে উপলদ্ধি করতে পারবো। এই AI যেহেতু সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে তাই আমাদের সেয়টি জানতে হবে। সেগুলো হলোঃ
                                                  সুবিধা-
                                                  • কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি:
                                                    • বিস্তারিত: এআই সিস্টেমগুলো দ্রুত এবং সঠিকভাবে বিশাল পরিমাণ ডেটা প্রক্রিয়া করতে পারে। যা মানুষের কাজের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ।
                                                    • উদাহরণ: ফিনান্সিয়াল ট্রেডিং, উৎপাদন প্রক্রিয়া অটোমেশন এবং ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
                                                  • স্বয়ংক্রিয়তা ও সময় সাশ্রয়:
                                                    • বিস্তারিত: একঘেয়ে ও পুনরাবৃত্তিমূলক কতমেতি অটোমেটিক ভাবে করার মাধ্যমে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং সময় বাঁচানো সহজ হয়।
                                                    • উদাহরণ: চ্যাটবট, ইমেইল ফিল্টারিং এবং অটোমেটেড রিপোর্ট জেনারেশন।
                                                  • সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
                                                    • বিস্তারিত: AI ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে মানসম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে থাকে। যা মানুষের দ্বারা করা সিদ্ধান্তের তুলনায় বেশি সঠিক হয়ে থাকে।
                                                    • উদাহরণ: স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়, মার্কেট অ্যানালিসিস এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
                                                  অসুবিধা-
                                                  • নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার সমস্যা:
                                                    • বিস্তারিত: AI সিস্টেমে সংবেদনশীল তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করলে তা নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন হতে পারে।
                                                    • উদাহরণ: ব্যক্তিগত তথ্যের অননুমোদিত অ্যাক্সেস, ডেটা চুরি বা প্রাইভেসি হুমকি ইত্যাদি।
                                                    বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্ব:
                                                    • বিস্তারিত: AI  সিস্টেম যদি পক্ষপাতমূলক ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, তবে এটি বর্ণবাদ, লিঙ্গবৈষম্য, বা অন্যান্য বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিবে। 
                                                    • উদাহরণ: চাকরি নিয়োগ, ক্রেডিট স্কোরিং এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব।
                                                    চাকরির ক্ষতি:
                                                    • বিস্তারিত: অটোমেটিক প্রক্রিয়া এবং রোবোটিক্সের কারণে কিছু মানুষ তাদের চাকরি হারাতে পারে। বিশেষ করে এমন কাজগুলো যেখানে বেশি দক্ষতার প্রয়োজনহয় না।
                                                    • উদাহরণ: উৎপাদন শিল্পে ম্যানুয়াল শ্রম, ডাটা এন্ট্রি, এবং গ্রাহক সেবা ক্ষেত্রে চাকরি ক্ষতি ইত্যাদি।

                                                  শেষকথা

                                                  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলো কি সে বিষয়ে আজকের  এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আপনি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলো জেনে থাকেন তাহলে এর সঠিক উপকার উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই এর ন্যায় ব্যবহার করতে হবে। এর অপব্যবহার করা যাবেনা।

                                                  আশা করি আপনার আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন AI সম্পর্কে। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যদি এই রকম তথ্যমূলক পোস্ট পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করতে থাকুন।

                                                  এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

                                                  পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
                                                  এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
                                                  মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

                                                  এম এম আই ২২ আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

                                                  comment url