এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন

এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন করতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা চুলের যত্নে এলোভেরা বা চুলে এলোভেরা দেওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো।

এলোভেরা-দিয়ে-চুলের-যত্ন

এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। যে কিভাবে এলোভেরা আমাদের চুলে ব্যবহার করবো? আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন - যেভাবে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করবেন

এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন

এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন আমাদের খুবই উপকারে আসতে পারে। আমাদের ত্বকের জন্য যেমন এলোভেরার অনেক গুনাগুন বা উপকার রয়েছে। ঠিক তেমনি চুলের যত্নে এই এলোভেরা অন্যতম। এর অন্যতম ঔষধি গুন আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে। আমরা বাইরে পার্লারে না গিয়ে ঘরে বসে বিনা খরচে আমাদের চুলের যত্ন নিতে পারি।

প্রাচীনকালে নারীরা এই ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা তাদের রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করে আসছেন। আমরা মিশরীয় লোক কাহিনী থেকে জানতে পারি প্রতিদিন গোসলে এই ভেষজের ব্যবহারে সতেজ হয়ে উঠতেন সে সময়ের রাজকন্যারা। এই এলোভেরার গুনের কারনে যুগের পরিবর্তনে এর ব্যবহার চুলের যত্নেও হয়ে থাকে। যা আমাদের চুলের জন্য় বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকারে এসে থাকে।

চুলে এলোভেরা দেওয়ার নিয়ম-কানুন অনেক রয়েছে। আমরা শুধু এলোভেরা আমাদের চুলে ব্যবহারের পাশাপাশি এর সাথে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারি। তবে এর সাথে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্যই এর সাথে আমাদেরর চুলের জন্য উপকারি প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ফলে একটি প্যাক তৈরি হবে এবং আমাদের চুলের যত্নে অধিকতর কাজে আসবে।

চুলের যত্নে সরাসরি এলোভেরা পাতার জেল

চুলের যত্নে সরাসরি এলোভেরা পাতার জেল ব্যবহার করা যায়। এর ফলে আমাদের কোনো প্রকার ঝামেলা করতে হয় না। এলোভেরা ছাড়া আর অন্য কোনো উপাদান লাগে না। শুধুমাত্র এলোভেরা পাতা থাকলেই আমরা এটি খুব সহজেই আমাদের চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারি। সরাসরি এলোভেরা ব্যবহারের বিশেষ দিক হলো এটি সম্পূর্ণটাই ন্যাচরাল। ত চলুন এর ব্যবহারের নিয়মগুল জেনে নেওয়া যাক।

ব্যবহারের নিয়মঃ

১। সর্বপ্রথমে গাছ থেকে একটি এলোভেরা পাতা পছন্দ করে সেটিকে সোজা করে কেটে নিতে হবে।
২। এরপর পাতার উপরের সবুজ খোসাটুকু ছেটে নিতে হবে যাতে শুধুমাত্র সাদা জেলটি থাকে।
৩। এখন সরাসরি এলোভেরা জেলটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগাতে হবে।
৪। ভালোভাবে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন, যাতে এটি স্কাল্পে ভালোভাবে যেতে পারে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৫। এখন এটিকে ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত রেখেদিন। সময় শেষ হলে সাধারন শ্যাম্পু দিয়ে চুলকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সরাসরি এলোভেরা পাতার জেল ব্যবহারের উপকারিতাঃ

এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে আপনি চুলের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এটি সরাসরি ব্যবহার করলে চুলকে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করবে এবং চুলকে শুষ্কতা থেকে দূরে রাখবে। এছাড়াএর আরও অনেক উপকার আছে। এটি ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। যা আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকবে। এটি চুলের সাস্থ্য উন্নতসহ চুলকে নরম ও সিল্কি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

রাতে চুলে এলোভেরা ব্যবহার

রাতে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা বেশিরভাগ সময় দিনে ব্যস্ত থাকি। আর ব্যস্ততার কারণে আমরা আমাদের শরীর বা চুলে সেরকম যত্ন নিতে পারি না। কিন্তু আমরা চাইলে রাতে আমাদের শারীরিক যে কোন যত্ন নিতে পারি। সেই সাথে আমরা চুলের যত্ন নিতে বিভিন্ন তেল ব্যবহারের পাশাপাশি এলোভেরাও ব্যবহার করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা আজকে আস্তে আস্তে জানছি যে অ্যালোভেরা আমরা কিভাবে চুলে ব্যবহার করতে পারি? যেভাবে চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করবেন এর মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো রাতের বেলা চুলে এলোভেরা ব্যবহার করা। আমরা অনেকে মনে করি রাতে বেশিক্ষণ চুলে এলোভেরা দিয়ে থাকলে ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু সেটা ভুল ধারণা। আমরা চাইলে রাতের বেলায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারি।

আমরা যদি রাতের বেলা চুলে এলোভেরা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়, তারপর সকালে উঠেই আমরা যদি সেটিকে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে আমাদের মাথা বা চুল পরিষ্কার করে ফেলি তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে। কারণ রাতের বেলা বেশিক্ষণ ধরে আমাদের চুলে এলোভেরা থাকার কারণে সেটির উপকারী গুণ ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।

এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায়

এলোভেরা দিয়ে চুল সিল্কি করার উপায় রয়েছে। চুলে এলোভেরা দেওয়ার নিয়মও অনেক রয়েছে।আমরা বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের চুলে বাজার থেকে এলোভেরা জেল বা সরাসরি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের চুলকে স্বাস্থ্যবান এবং বিশেষ করে সিল্কি করে তুলতে পারে। এর বিশেষ কিছু নিয়ম নিম্নে দেওয়া হলোঃ

এলোভেরা ও অলিভ অয়েল ঃ চুলে এলোভেরা দেওয়ার নিয়ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যালোভেরার সাথে অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা। অলিভ অয়েল দিলে বিদ্যমান পুষ্টিকর গুনগুলো আমাদের ফুলের জন্য খুবই উপকারী একটি অ্যালোভেরার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারি। ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং এক টেবিল চামচ জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে তাহলে চলে অনেকটা সিল্কি ভাব চলে আসবে।

আরও পড়ুনঃ শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখবেন যেভাবে

এলোভেরা জেল ও মধুঃ চুলের যত্নে এলোভেরা ও মধু হতে পারে অনেক উপকারী। আমরা দুই টেবিল চামচ এ অ্যালোভেরা জেল এবং সামান্য পরিমাণ বা এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে চুলের ব্যবহার করতে পারি। এরপর সেটিকে আধাঘন্টা বা ৩০ মিনিট মতো রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে আমাদের চুল অনেক খানি খিলকি ও মসৃণ হয়ে উঠবে।

চুলের যত্নে এলোভেরা ব্যবহারের আরো অনেক মাধ্যম বা পদ্ধতি রয়েছে, দুপুরের পদ্ধতি গুলো অনেক উপকারী এবং সহজ আমরা খুব সহজেই আমাদের চুলে ব্যবহার করতে পারি এবং আমাদের চুলকে সতেজ, মসৃণ এবং সিল্কি করে তুলতে পারি। উপরের পদ্ধতি গুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারে পারলে আমাদের চুল অনেকখানি সিল্কি হয়ে উঠবে।

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন

অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নিলে আপনার চুল হয়ে উঠতে পারে আরো উন্নত। যা অন্যদের থেকে অনেক আকর্ষণীয় করে তুলবে আপনার চুলকে। কিন্তু লেবুতে যেহেতু এসিড থাকে, তাই আমাদের সঠিক নিয়ম ও ব্যবহার জেনে সেটিকে আমাদের চুলের যত্নে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে আমাদের চুলের যত্ন নিতে হবে।

এলোভেরা-ও-লেবু-দিয়ে-চুলের-যত্ন

এলোভেরা ও লেবুর প্যাকঃ হ্যালো চুলের যত্নে এলোভেরা ও লেবুর প্যাক তৈরি করতে আমাদের উপকরণ লাগবে ২ টেবিল চামচ এলোভেরা এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস। এরপর অ্যালোভেরা ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই পেস্টটিকে চুলের গোড়া থেকে কিনারা পর্যন্ত ভালোভাবে দিয়ে নিতে হবে। সেটিকে ২০ থেকে ৩০ মিনিট মতো রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটি মাথার তেলের ভারসাম্য বিজায় রাখবে।

স্কাল্প ম্যাসাজঃ এটি করতে এত পরিমাণ এলোভেরা ও লেবুর রসের প্রয়োজন। অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ এলোভেরা এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে স্কাল্পে অর্থাৎ চুলের গোড়া বা মাথার মাংসে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ভালোভাবে ম্যাসাজ করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট মতো রেখে আমাদের মাথা ও চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। লেবুর ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক।

শ্যাম্পু যোগ করে ব্যবহারঃ এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন নিতে আরেকটি বিশেষ মাধ্যম হলো শ্যাম্পুর সাথে এলোভেরা জেল ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা। গোসলের সময় প্রয়োজনমতো শ্যাম্পু এলোভেরা জেল এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে আমরা যেভাবে গোসল করি সেভাবে সে মিশ্রণটি আমাদের চুলে ব্যবহার করে, গোসলের সাথে ধুয়ে ফেলতে হবে। হলে আমাদের চুল অনেক দিক থেকেই উপকৃত হবে।

এলোভেরা দিয়ে চুল বড় করার উপায়

অ্যালোভেরা দিয়ে চুল বড় করার উপায় আমাদের জেনে থাকা উচিত। কারণ আমরা অনেকেই ছোট চুল নিয়ে অশান্তিতে ভোগী। অ্যালোভেরা যেমন আমাদের চুলের চুলকে সিল্কি ও মসৃণ করতে সহায়ক ঠিক তেমনি আমরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করে আমাদের চুলকে বড় করতে পারি। অ্যালোভেরা কে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের চুলের অনেক উপকার করতে পারি। চলুন এখন অ্যালোভেরা দিয়ে চুল কিভাবে বড় করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুনঃ চোখ উঠলে করনীয় কি?

এলোভেরা ও নারিকেল তেলঃ আমরা সাধারণত অনেকে আমাদের চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার করে থাকি। ২ টেবিল চামচ পরিমাণ এলোভেরা জেল এবং ১ চামচ তেল একসাথে মিশিয়ে আমাদের স্কাল্পে অর্থাৎ মাথার মাংসে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এটি রাতেও ব্যবহার করা যায়। এটিকে ১ ঘণ্টার উপরে রেখে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যা আমাদের চুলে পুষ্টি যোগাতে এবং বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

এলোভেরা ও দইঃ আমাদের চুলের বৃদ্ধিতে এলোভেরা সাথে দই ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ টেবিল চামচ এলোভেরা এবং ২ টেবিল চামচ দই একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে এবং সেটিকে চুলে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ভালোভাবে চুলকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দইয়ের প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করবে এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

চুলে এলোভেরা ব্যবহার নিয়ে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ চুলের জন্য কোন অ্যালোভেরা ভালো?

উত্তরঃ চুলের যত্নের জন্য সবচেয়ে ভালো ও সেরা এলোভেরা হলো সরাসরি গাছের কাঁচা জেল। এছাড়া এই জেল অনেক দোকানে পাওয়া যেতে পারে। সেটির রঙ পরিষ্কার ও পানিযুক্ত হয়ে থাকে। তবে গাছের টাই সবচেয়ে ভালো।

প্রশ্নঃ এলোভেরা কি ধূসর চুল দূর করে?

উত্তরঃ বর্তমানে এই অকাল ধুসর চুল দূরীকরণে সেরকম কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সরিষার তেল এর জন্য উপকারি। তাই এলোভেরা ও সরিষা তেল একসাথে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ AI এর সুযোগ-সুবিধা

প্রশ্নঃ এলোভেরা কি কোঁকড়া চুলে সাহায্য করে?

উত্তরঃ এলোভেরা হলো অ্যামিনো অ্যাসিড, লিপিড ও প্রোটিন সম্পন্ন একটি উপাদান। যা চুল্কে চকচকে করতে পারে। অর্থাৎ এলোভেরা কোঁকড়ানো কে সিল্কি ও ফ্রিজি চুল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্নঃ এলোভেরা কি চুলের জন্য ভালো?

উত্তরঃ অবশ্যই এর গুনাগুন গুলো আমাদের চুলের জন্য খুবই ভালো। এর সূক্ষ্ম কার্লগুলোর কারণে এলোভেরা কে একটি আশ্চর্যজনক ক্লিনজার করে। এটি চুলকে গোভীরভাবে পরিষ্কার এর জন্য অনেক শক্তিশালী। 

ছেলেদের চুলের যত্নে এলোভেরা

চুলের যত্নে এলোভেরা ছেলেরাও ব্যবহার করতে পারে। এই এলোভেরা চুলে ছেলে মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারে। ছেলেদের জন্য আলাদা করে কোনো নিয়ম-কানুন নাই। কিন্তু খুব সহজে ছেলেরা যেভাবে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা দিতে চাই। চাইলে মেয়েরাও এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারে।

ছেলেদের-চুলের-যত্নে-এলোভেরা

এলোভেরা ও পানিঃ চুলের যত্নে এলোভেরা ব্যবহারের অন্যতম সহজ মাধ্যম হলো পানি দিয়ে ব্যবহার করা। প্রথমে অ্যালোভেরা গাছ থেকে অ্যালোভেরার কথা কেটে নিয়ে শুধুমাত্র এর ভেতরের জেলটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে সেটির সাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে রেখে দিতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় সেখান থেকে সম্পূর্ণ চুলে অল্প পরিমাণ স্প্রে করে নিলে চুল ঝলমলে ও সিল্কি হয়ে থাকবে।

শুধু এলোভেরাঃ ছেলেদের জন্য আরেকটি সহজ ও সময় সাপেক্ষ মাধ্যম হলো শুধু মাত্র এলোভেরা জেল ব্যবহার করা। এর জন্য কোনো আলাদা উপদান বা আলাদা সময় প্রোজন নেই। সরাসরি এলোভেরা জেল হাতে নিয়ে মাথার তালুতে ম্যসেজ করুন। সেটি মাথায় ২ ঘন্টা মতো রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।

এলোভেরা ও ভিটামিন ইঃ ছেলেদের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি হলো এলোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই ব্যবহার করা। কোনো ফার্মেসী থেকে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়ে এসে সেটিকে আধাকাপ এলোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা তোয়ালে দিয়ে ৪০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে নিতে হবে।

চুলে এলোভেরা ব্যবহারের উপকারিতা

আমরা ইতোমধ্যে চুলে এলোভেরা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি কিন্তু আমরা এলোভেরা ব্যবহার করবো বা করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করার উপকারিতা গুলো জানতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের চুলের উপকৃত দিকগুলো দেখতে পাবো। আর এটি আমাদের জন্য জানা খুবই জরুরী। কারণ না জানলে আমাদের চুলের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করতে পারবো না।

উপকারিতাঃ

  • এলোভেরা চুলের গভীরে প্রবাহিত হয়ে চুলকে হাইড্রেট করে, শুষ্কতা কমায় এবং চুলকে নরম রাখতে সহায়ক।
  • এলোভেরা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকার কারণে স্কাল্পে বা মাথায় খুশকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • এলোভেরা চুলের গোঁড়ায় রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • এলোভেরা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং একটি প্রাকৃতিক শাইন প্রদান করতে খুবই সহায়ক।
  • এলোভেরা ব্যবহার করলে চুলের দুর্বলতা ও চুল ভেঙে যাওয়া কমে। এমনকি চুলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
  • এলোভেরা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা চুলকে পুষ্টি দেয় এবং সজীব রাখতে সাহায্য করবে।
  • এলোভেরা ব্যবহার করলে চুল বেশি মসৃণ ও সিল্কি হয়। যা স্টাইলিশ হতে সহজ করে থাকে।
এছাড়াও এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন করলে আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করি তাহলে আমরা এর উপকারগুলো লক্ষ্য করতে পারবো। এবং আমাদের চুলের কি কি পরিবর্তন হয়েছে সেটাও দেখতে পাবো। উপরে উল্লেখিত দিকগুলোর থেকেও বেশি বা বিভিন্ন প্রকার উপকৃত দিকগুলো জানতে পারবো।

শেষকথাঃ

এলোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে করবেন আশা করি সেগুলো আপনারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন। আসলে আমরা অনেকে জানি এলোভেরা আমাদের চুলের জন্য উপকারী। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না জানার কারণে এটি ব্যবহার থেকে দূরে থাকি।

আশা করি আপনারা এখন এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এরকম আরও বিভিন্ন উপকার মূলক পোস্ট ও বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করতে পারেন। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এম আই ২২ আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url