কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি আপনি কি সেগুলো জানেন? আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে কি আপনি তা জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্ট টি আপনার জন্য। তাই অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।
কালোজিরা খেলে কি হয় আমরা অনেকে তা জানি না। কিন্তু এটি যে আমাদের জন্য কি ভূমিকা রাখে তা অবশ্যই আমাদের সকলের জানে থাকা দরকার। তাহলে চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত এই পোস্ট থেকে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা - রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় জানুন
- কালোজিরা কি?
- কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- কালোজিরা কিভাবে খাবেন ও কখন?
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
- শুধু কালোজিরা খেলে কি হয় ও কালোজিরার উপকারিতা
- কালোজিরার ব্যবহার
- কালোজিরা তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার
- ভালো মানের কালোজিরার তেল চেনার উপায়
- কালজিরা খাওয়ার অপকারিতা
- শেষকথা
কালোজিরা কি?
কালোজিরা কি তা আমরা সবাই জানি। আবার অনেকে নাও জেনে থাকতে পারি। তো চলুন আমরা যারা জানি বা জানিনা সবাই একটু এই কালোজিরার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়। কারন কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা জানতে হলে আগে এটি সম্পর্কেও ভালোভাবে জানতে হবে বা এর সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
কালোজিরা হলো একটি মাঝারী আকৃতির মৌসুমি গাছ। যার বছরে একবার ফুল ও ফল হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nigella Sativa Linn। এর রং সাধারণত নীলচে সাদা হয়। তবে জাত বিশেষে হলুদাভাব হয়ে থাকে। আর এই ফুল স্ত্রী ও পুরুষ দুই ধরনেরই হয়ে থাকে।
এই গাছের ফুলের পাঁচটি পাপড়ি থাকে। তিন কোণ বিশিষ্ট কালো রঙের এর বীজ হয়। যাকেই আমরা মূলত কালোজিরা নামে চিনি। এর ফল হয়ে থাকে গোলাকার আকৃতির। আর প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি করে বীজ থেকে থাকে। আর এই বীজই হলো কালোজিরার মূল উপাদান।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা হলো এক বিশেষ মহা ঔষধ। এই কালোজিরা মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের শেফা। এটি এমন এক খাদ্য যা আমরা নিয়মিত ও নিয়ম মেনে খেতে পারলে আমাদের অনেক উপকারে আসবে। আমরা অনেকে তা জানিনা যার কারনে আমরা এটি ব্যবহার করি না বা খায় না। তাই কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা আমাদের জান্তে হবে।
কালোজিরা (Nigella sativa) বা কালোজিরার বীজ বহু প্রাচীনকাল থেকেই আমদের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের না জানার কারনে আমরা এটি সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে পারি না। এটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারি খাবার। নিম্নে এর চিবিয়ে খাওয়ার বিশেষ ২ টি উপকারিতা দেওয়া হলোঃ
১. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণঃ কালোজিরায় বা কালোজিরার বীজে থাইমোকুইনোন নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী ও সবল করতে সাহায্য করে থাকে। এটি আমাদের শরীরের সংক্রমণ এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হয়ে থাকে। যা এর এক বিশেষ গুন।
২. অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি প্রপার্টিঃ কালোজিরার এক অন্যতম গুন হলো এটি। কালোজিরার বীজে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক হয়ে থাকে। এটি অস্টিওআর্থারাইটিস এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের উপশমে বা এইসব রোগ থেকে নিরাময় হতে সহায়ক হতে পারে।
কালোজিরা কিভাবে খাবেন ও কখন?
প্রিয় পাঠক কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে বা এটি জানা যতটা আমাদের জরুরী ঠিক তেমনি এটি আমরা কিভাবে খাবো তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। কারন আমাদের সবকিছুরই সঠিক ব্যবহার করা উচিৎ। কালোজিরা বিভিন্নভাবে খাবারে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কালোজিরা খাওয়ার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ
১. কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়াঃ কালোজিরার উপকার লাভের এক অন্যতম মাধ্যম হলো এটি চিবিয়ে খাওয়া। আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চা চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন। যা আপনার বিশেষ উপকারে আসতে পারে। কারন এটি হজমের উন্নতি এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণের জন্য খুবই উপকারি।
আরও পড়ুনঃ চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার
২. কালোজিরার গুঁড়ো ব্যবহার করাঃ আমরা এই কালোজিরা কে গুরা করে ব্যবহার করতে পারি ।এর জন্য প্রথমে কালোজিরা কে শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর যেকোনো মাধ্যমে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এই গুঁড়ো বিভিন্ন খাবারে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তা যেকোনো সময় খেতে পারেন। যেমন: দই, স্মুদি, স্যুপ বা সালাদ ইত্যাদি তে।
৩. কালোজিরার চা তৈরি করেঃ আমরা যেকোনো সময় এই কালোজিরা খেতে পারি। কিন্তু বিকালে বা আমরা যখন চা পান করবো তখন এটি খেতে পারি। এছেড়া কালোজিরা থেকে চা তৈরি করে পান করতে পারেন। এক কাপ গরম পানিতে ১-২ চা চামচ কালোজিরা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে সেটিকে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা সকালে খালি পেটে খেলে কি হয় তা জানা প্রয়োজন। কারন আমরা জানি যে কালোজিরার মতো উপকারি আর কোনো খাবার নেই। তাই এর সকল গুনাগুন ভোগ করতে চাইলে অবশ্যই এর সকল বিষয়ে জেনে থাকা উচিৎ। কারন এটি আমাদের শরীরের বিশেষ বিশেষ সকল রোগের নিরাময়ের মূল। খালি পেটে সকালে খেলে কালোজিরার কিছু উপকারিতা হলোঃ
১. হজম শক্তি উন্নত করাঃ খালি পেটে কালোজিরা খেলে হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যা দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। যেমনঃ গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক বা কনস্টিপেশনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কালোজিরা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অনেক উপকারি।
আরও পড়ুনঃ চোখ উঠলে কি খাবেন?
২. মেটাবলিজম বৃদ্ধিঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের শরীরের উপকারি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হতে পারে। এটি ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে থাকে। যা আমাদের শরীরের ফিটনেস ঠিক রাখতে পারে।
৩. ডিটক্সিফিকেশনঃ কালোজিরা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে বিশেষ সাহায্য করে থাকে। আর এটি খালি পেটে খেলে ভালো করে কার্য সম্পূর্ণ করতে পারে। এটি খালি পেটে খেলে দেহের পরিষ্কারকরণ প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারে। এছাড়া কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস সহ বর্ণিত রয়েছে। তাহলে অবশ্যই এর গুরুত্ব আমরা উপলদ্ধি করতে পারি।
শুধু কালোজিরা খেলে কি হয় ও কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা বা কালোজিরারর বীজ খেলে তার উপকারিতাগুলো কি সে সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে হালকা জানতে পারেছি। এখন আমরা কালোজিরার আরও কিছু উপকারিতা ও রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় তা জানবো। এই সব বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোঃ কালোজিরাতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারন এগুলোতে হৃদরোগে প্রতিকারের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এই রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়ক হয়ে থাকে। এমনকি এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশমে সাহায্য করতে পারে।
২. ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতিঃ কালোজিরাতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আসে। যা বিশেষ করে ব্রণ, রিংওয়ার্ম এবং একজিমা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। রাতে খেলে এর কিছু উপাদান শরীরকে আরাম দিতে সাহায্য করে। যা ঘুমের মান উন্নত করে থাকে। এটি স্বাভাবিকভাবে প্রশান্তি দেয় যা ঘুমে সহায়ক। যা ত্বকের জন্য উপকারি। রাতে শরীর কোষ পুনর্নির্মাণ করে। রাতে কালোজিরা খেলে এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা হতে পারে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ কালোজিরার কিছু উপাদান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি মানসিক উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অনেক উপকারি। এমনকি এই কালোজিরা আমাদের স্বস্তি প্রদান করতেও সাহায্য করে থাকে।
৪. সর্দি-কাশি, ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোঃ কালোজিরা সর্দি, কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার উপশমে সাহায্য করে থাকে। এটি শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়কহয়ে থাকে। আর কালোজিরার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি গাঁটের ব্যথা এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত অবস্থার শেফা প্রদানে অনেক উপকারি।
কালোজিরার ব্যবহার
কালোজিরা দৈনন্দিন জীবনে নানা ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। আর এর স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করা যেতে পারে। কালোজিরা হলো একটি বহুমুখী উপাদান যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। আর তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম্নের কিছু উদাহরণ দেওয়া হলোঃ
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে বসে ব্যবসার আইডিয়া
রান্নায় মসলা হিসেবে: কালোজিরার বীজ রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বিশেষ করে ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান খাবার গুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি স্যুপ, তরকারি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি কালোজিরা রুটি, নান, অথবা পেস্ট্রি ডোতে মিশিয়ে দিতে পারেন। এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায় এবং কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।
স্ক্রাব ও ঔষধ হিসেবে: কালোজিরার গুঁড়ো ব্যবহার করে একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করা যেতে পারে। যা ত্বক থেকে ময়লা বের করতে সাহায্য করে। এমনকি মৃত কোষ দূর করতে সহায়ক এই কালোজিরা। কালোজিরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ওষুধের অংশ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে। যা আমরা উপরে বিস্তারিত জেনে এসেছি।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার
কালোজিরা তেল (Nigella sativa oil) হলো একটি বহুমুখী এবং প্রাকৃতিক তেল। যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানা থাকলেও এর তেলের ব্যবহারও জানতে হবে। কারন এই কালোজিরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম ও উপকারি হলো এর তেলের ব্যবহার। নিম্নে তেলের কিছু ব্যবহারর উল্লেখ করা হলোঃ
ত্বক ও চুলে ব্যবহারঃ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে মসৃণ করতে ব্যবহৃত হয়। ত্বকে পিগমেন্টেশন অর্থাৎ আমাদের শরীরের বা ত্বকের রঙের অসমতা কমাতে সহয়তা করতে পারে। এই তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এমনকি মাথায় খুশকি এবং মাথার ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমতে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI এর সুবিধা জানুন
দাঁত এবং ব্যথা বা প্রদাহঃ এই তেল আমরা দাঁতের যেকোনো সমস্যাতে ব্যবহার করতে পারি।এটি আমাদের ব্যাথা থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি মাসপেশির ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেলটি ম্যাসেজ করে ব্যথিত স্থানে লাগালে ভালো হয়। এমনকি এই কালোজিরার তেল আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনক রোগের উপশমে সহায়ক হতে পারে। এই তেল খেলেও অনেক উপকারি আমাদের জন্য।
ভালো মানের কালোজিরার তেল চেনার উপায়
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা বা তেলের উপকারিতা কি তা জেনেছি। কিন্তু আমরা এটির উপকার বা গুন ঠিক তখনই পাবো যখন আমরা এই কালোজিরার তেল অরিজিনাল এবং ভালো মানের পাবো বা কিনতে পারবো। তার জন্য আমাদের কি করতে হবে? এর জন্য আমাদের করনীয় হলো এটি আসল বা ভালো মানের নাকি ভেজাল যুক্ত তা যাচাই করতে হবে। তো চলুন কিভাবে তা বুঝবো জেনে নেওয়া যাক।
এটি আমরা দোকানে থাকা অবস্থায় বা কিনে আনার পর দেখতে পারি। আসল কালোজিরার তেল তা যাচাই করতে আমাদের প্রথমে একটি গ্লাস এর অর্ধেক পানি নিতে হবে। তারপর সেই গ্লাসে ১ চামচ তেল দিতে হবে। দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে খেয়াল করতে হবে যে পানির রং পরিবর্তন হয়েছে কি না। যদি এর রং পরিবর্তন হয়ে কালচে ভাব হয় তাহলে সেটি নকল। আর যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে সেটি আসল তেল।
আমরা অবশ্যই এটি খেয়াল রাখবো। কারন আমাদের এই কালোজিরার তেলের সঠিক গুনাগুন পেতে হলে সেটির বৈশিষ্ট্য ভালো ভাবে যাচাই করে নিতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্থ তো নষ্ট হবেই বরং এর উপকার না পেয়ে ক্ষতিও হতে পারে। কারন ভেজাল যুক্ত কোনো কিছুই আমাদের স্বাস্থের জন্য ভালো নয়। তাই সেদিকে আমাদের নজর থাকা উচিৎ।
কালজিরা খাওয়ার অপকারিতা
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় তা আমরা জেনেছি। অনেকের প্রশ্ন প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়? এই কালোজিরার অনেক উপকার সম্পর্কেও উপরে জেনে এসেছি। এটি মূলত কোনো ক্ষতি সাধন করে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্র বিশেষে অপকারিতা বা ক্ষতি রয়েছে। অতিরিক্ত বা অনুপযুক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অ্যালার্জি এবং হরমোনাল প্রভাবঃ কালোজিরার প্রতি কিছু মানুষের অ্যালার্জি থাকতে পারে। যা আমাদের ত্বকে চুলকানি বা অন্যান্য অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। তাই নতুন ব্যবহারের আগে একটি প্যাচ টেস্ট করা ভালো।কালোজিরার মধ্যে কিছু হরমোনাল প্রভাবও থাকতে পারে। যা কিছু আমাদের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যারা হরমোন জনিত কোনো সমস্যাই ভোগেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রক্তপাত ও গর্ভাবস্থায় ব্যবহারঃ কালোজিরাই রক্তপাত বা রক্তের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা (রক্ত সঞ্চালন সমস্যা) তৈরি হতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। যা বিশেষ পরিস্থিতিতে সমস্যার দেখা দিতে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালোজিরা বা তেল ব্যবহারে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন তীব্র প্রসব ব্যথা। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
শেষকথা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা বা অপকারিতা, এর তেলের উপকার ও ব্যবহার সবকিছুই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা আজকের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। কোনো ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আশা করি আজকের সকল বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এরকম আর্টিকেল পড়তে বা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইট টি ফলো করতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এম এম আই ২২ আইটি ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url